Thursday, October 9, 2008

নাস্তিকতা কি তারপরও যৌক্তিক মনে হয়?

প্রগতিশীলদের জামা কাপড় হলো নাস্তিকতা। আস্তিকতা বিশেষ করে ইসলামী অনুশাসন থেকে বর্তমান সময়ের বুদ্ধিমান(যদিও আমার সন্দেহ হয়) লোকজন অনেক কষ্ট করে হলেও বের হয়ে আসতে চান।

সে যা হোক, নাস্তিকতাবাদীদের প্রথম ধাপ বিধাতাকে অস্বীকার করা। এ ব্যাপারে তাদের চিস্তা হলো, ধর্ম বলে, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেন তাঁর ইবাদাতের জন্য। কই মানুষকেতো আল্লাহর হাতে সৃষ্টি হতে দেখা যায় না। বাবা মায়ের মাধ্যমেই প্রকৃতির অনেক নিয়মের মতই সন্তানের জন্ম হয়।

ধর্ম বলে, পৃথিবীর প্রথম মানুষযুগল হতে বর্তমানকার মানুষের আবির্ভাব হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কিন্তু নাস্তিকতার শিক্ষা হলো প্রথম মানুষ বলতে কিছু নেই। প্রথম মানুষের আবির্ভাব বিশ্বাস করা বিধাতাকে বিশ্বাস করারই সমান। তাই কোন না কোনভাবে প্রথম মানুষের ধারনা থেকে বের হতে হবে। তারই গবেষনার ধারাবাহিকতায় এল বিবর্তনবাদের ধারনা। মানুষের পূর্বপুরুষ বানর। মানুষকে বানরের সাথে তাই একই 'গন' এ স্থান দেয়া হয়েছে। তারপর এই বানরেরও উদ্ভব কোন গোত্র থেকে। এভাবে পেছনে ফিরতে থাকলে দেখা যায় মাটিতে পাওয়া অ্যামিনো এসিড হলো প্রানের রহস্য। তবে এর শুরু আসলে কোথা থেকে তা কেউ কি বলতে পারেন? যার শুরু স্পষ্ট নয় তা সত্য অবশ্যই নয়।

মানুষতো বানর হতেই উদ্ভব হয়েছে বলে কিছু লোকের ধারণা। তবে গত ৪০০০ বছরে জঙ্গল থেকে কি কোন মানুষ সভ্য জগতে এসেছে? মানুষ যদি বানরেরই পরের সংস্করণ তবে তো মানুষের কোন পূর্বপুরুষ কোন বানরের পরিবারেই জন্মেছিল। তবে এখন কেন এ ধরনের খবর সি এন এন কিংবা বিবিসিতে আসে না যে, "এ বছর জঙ্গল থেকে আসা বিবর্তিত হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এই সংখ্যা ১৫০০০। আর নতুন এই মনুষ্যগুলোর জন্য বাসস্থানের ব্যাবস্থা করতে সরকারের ১৫ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছে। নয়া বিবর্তিত মানুষের জন্য আলাদা স্কুলের জন্য এবছর সরকার আলাদা ফান্ড গঠন করেছে। ইত্যাদি।"

ধরা যাক ৫০০০০ বছর আগে বানর থেকে মানুষ নামে এক বুদ্ধিমান প্রানীর বিবর্তন হয়েছে। তবে এতদিনেও কেন মানুষ থেকে অন্য কোন নতুন এবং আরো বুদ্ধিমান প্রানীর উদ্ভব হলোনা? তবে কি মানুষই সেরা জীব। আর একথাতো ইসলামেরই শিক্ষা। তবে তো বলাই যায় মানুষই আশরাফুল মাখলুকাত। মানুষ সর্বকালেই সকল সৃষ্টির সেরা। এবং এও সত্য যে মানুষ কোন জীব হতেই বিবর্তিত নয়। এটি মৌলিক এক সৃষ্টি। এবং যেহেতু এমনি এমনি কোন কিছুই এ দুনিয়ায় হয় না, তাই মানুষকেও কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছে। আর মানুষের সৃষ্টিকর্তা একজন অবশ্যই আছে। আর নাস্তিকতা একটা অযৌক্তিক কল্পনা
আজ যদি কেউ অন্য কাউকে বলে, "জানিস, আজ কি দেখেছি? আজ সকালে মর্নিং ওয়াক করতে হাটতে হাটতে এয়ারপোর্টে গিয়েছি। গিয়ে মাত্র দাড়ালাম আর তক্ষুনি দেখি বিরাট এক লোহার গাদা নড়া চড়া করছে। কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকতেই দেখি এটা একটা বিরাট বোয়িং ৭৪৭ হয়ে গিয়েছে। আমিতো তাজ্জব হয়ে গেছি। আরেকদিন আমি একটা মোটরগাড়ি হতে দেখেছি। "--কত্ত বড় চাপা দেখেন।
নাস্তিকরা এর চেয়ে বড় চাপাবাজ। এরা বলে একটা বিমান বা গাড়ি নয়, বরং দুনিয়াই নাকি এমনি এমনি হয়ে গেছে।

No comments: