Saturday, October 4, 2008

ফ্রেন্চদের নিয়ে একটি কৌতুক

একবার এক বাঙালি ডিভি ভিসা পেয়ে আমেরিকা এল। কিন্তু অদক্ষতার কারনে কোন চাকরিতে স্থায়ি হতে পারল না। অনেকটা ভবঘুরের মত এখানে সেখানে ঘুরতে লাগল। হঠাতই তার দেখা হয়ে গেল এক পাগলা প্রফেসরের সাথে।

আমেরিকার অনেক প্রফসরের মত সে ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করতে পছন্দ করত। তার একটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য একজন লোক প্রয়োজন। বাঙালী ভবঘুরেকে পেয়ে সেতো চাঁদ পেয়ে গেল।

বাঙালী ভবঘুরেকে প্রফেসর তাকে প্রস্তাব দিল তার এক্সপেরিমেন্টে সাহায্য করার জন্য। প্রফেসর একটা ঘর দেখিয়ে বাঙালীটিকে বললেন "তুমি এ ঘরে কিছুক্ষন অবস্থান করবে। প্রতি ঘন্টায় তোমাকে দেয়া হবে ৬০ ডলার।" বাঙালীতো খুশি। সে ভাবল যে ওখানে গিয়ে থাকা কোন ব্যাপার হল নাকি। গিয়ে একটা ঘুমই দিয়ে দেব নাহয়।

বাঙালীটি ঘরে প্রবেশ করল। অন্ধকার ঘর। যেমনটি ভেবেছিল আসলে ঘরের পরিস্থিতি সে রকম চিলনা। ঢুকতেই এক বিকট গন্ধ নাকে এল। প্রথমে কিছুটা সহ্য করা গেলেও ধীরে ধীরে গন্ধ টা অসহ্য হয়ে গেল। এতই বিকট ছিল গন্ধটা যে ঘুমের কথা ভাবারও সময় পেলনা। কোনমতে ঘড়ি ধরে একঘন্টা থাকার পর সে রুদ্ধশ্বাসে ঘর থেকে বেরিয়ে এল।

যথারীতি প্রফেসর তাকে ১০ডলারের ৬টি নোট ধরিয়ে দিল। নোট দেখে বাঙালীর লোভ গেল বেড়ে। মনে মনে ভাবল ধ্যাত কেন যে এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলাম। ইস যদি আরেকটা চান্স পাই তবে ব্যাটার সব টাকা হাতিয়ে ফেলব।

তার মনের কতা পড়তে পেরই যেন প্রফেসর সাহেব আবার প্রস্তাব করলেন। তবে এবার আরেকটা ভিন্ন ঘরে। এবারে টাকার পরিমান আগের চেয়ে অনেকগুন বেশী। এবারে প্রতি মিনিটের জন্য ১০০ ডলার। বাঙালীতো দিল একলাফ। যাহ এবারে আমেরিকার সব টাকা আমার। যত যাই হোক, আমি আর বেরুচ্ছিনা। নাক চেপে, দাত খিঁচে বসে থাকব। প্রয়োজনে আহত হব, শহীদ হয়ে যাব তাও আমার ডলার চাই।

ভাল কথা, সে ঢোকার প্রস্তুতি নিল। নাক, মুখ শার্টখুলে চেপে বেধে নিল। এবার নিশ্চিন্ত। প্রফেসর দরজাটা খুলেই ধাক্কা দিয়ে বাঙালীটিকে ঘরে ঢকিয়ে দিল। হঠাত এই আচরনে হতবুদ্ধ বাঙালীর কয়েক সেকেন্ড পার হয়ে যায় ঘটনা বুঝতে বুঝতেই। এটাও প্রচন্ড অন্ধকার ঘর, কিছুই দেখা যায়না। তারপরেই তার শার্ট বাধা নাকের ভিতর কি যেন বোঁটকা টাইপের ঘন কি যেন ঢুকতে শুরু করল। তীব্র গন্ধে নাকে জ্বালাপোড়া শুরু হল। হাত দিয়ে নাকটা আরো জোরে চেপে ধরে সে। তারপরও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। মনে মনে আশাহত হয় সে। তার নাক, মুখ, হাত পা সব যেন একসাথে এই তীব্র দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির জন্য আকুলি বিকুলি করছে। তার লম্বা সময় থাকার চিন্তা উবে গেছে কয়েক সেকেন্ড আগেই। এখন একশ ডলার পাওয়াই তার একমাত্র কাম্য। কিন্তু ঘড়ি যেন চলছেইনা। এক সেকেন্ড হওয়ার ২০ সেকেন্ড আগেই বের হওয়ার জন্য দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করল। প্রফেসরকে দরজাটা বন্ধ করার সুযোগ পাওয়ার আগেই দরজা খুলতে হল। ঘর থেকে বের হয়েই বাঙালী ভদ্রলোক অলিম্পিক ফাস্ট টাইপের দৌড় দিল। প্রফেসর তার এক্সপেরিমেন্টের কথা ভেবে তার পেছন পেছন গাড়ি চালিয়ে এলেন। এক মাইল যাওয়ার পর বাঙালী থামল। প্রফেসর তার থামার পর গাড়ি থেকে নেমে এলেন। তাকে দেখে বাঙালী দৌড়ে এসে তার কলার চেপে ধরে জিজ্ঞেস করে বলল,"ঐ ব্যাটা প্রফেসর ঐ ঘরে কোন জানোয়ার ছিল তাড়াতাড়ি বল.."। প্রফেসর কোন মতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, " ওখানে ছিলেন একজন ফ্রেন্চলোক।"


প্রফেসরের এক্সপেরিমেন্টের বিষয় ছিল,"একজন ফ্রেন্চ পারফিউম ব্যবহার না করলে কতক্ষন তাকে সহ্য করা যায়।"

বি:দ্র: ফ্রেন্চরা অনেকদিন একটানা গোসল করে না। তাদের গায়ের বিশ্রি গন্ধ দুর করতে তারা পাফিউম ব্যবহার করে। তবে এই পারফিউম ব্যবহার তারা নিজেরা আবিশ্কার করেনি। তারে শিখেছে স্পেনীয় মুসলিম সভ্যতাকাছ থেকে। তাছাড়াও ইউরোপের বিজ্ঞানের অগ্রগতি্ও মুসলিমদেরই দান। জানতে ক্লিক করুন গ্রানাডা ট্রাজেডী ও মুসলিম উম্মাহর করণীয়

No comments: