Thursday, October 9, 2008

আমরা কখনো কখনো মিথ্যা বলি, কে জীবনে কখনো মিথ্যে বলেনি?

ছোটবেলা থেকেই আমরা কোননা কোন ভাবে মিথ্যে বলে থাকি। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মিথ্যে বলে টিচারের কাছে ছাড় পাওয়া প্রায় সব ছাত্রের জন্য সাধারন। তার চেয়েও সাধারন মিথ্যে হলো হোমওয়ার্ক না করে মিথ্যা বলে পার পাওয়া।
মার কাছে মিথ্যে বলে টাকা নেয়া, মিথ্যা বলে অনেকদুর চলে যাওয়া। ইত্যাদি।
বাবার সাথেও আমরা কম মিথ্যা বলি না। আত্নিয় স্বজনও বাদ নয়।

কর্মজীবন তো মিথ্যা বলার প্রধান চর্চা কেন্দ্র। যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের সুন্দর চেহারা আর দামী কোটের আড়ালে থাকে এক অঝর ধারায় মিথ্যা বলা চরিত্র। উদাহরন, আমার এক আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম এস এস সির পর। সেখানে আমার আত্নীয় তার মিথ্যা ভাউচার করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ভাউচার গুলো ছিল ফটোস্ট্যাট এর বিলের। ভাউচার অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছিল এবং ভাউচারে যে বিল গুলো লিখেছিলাম সব ছিল ভুয়া। অর্থাৎ মিথ্যে দিয়ে আমাদের জনগনের টাকা তারা পকেটে ভরে নিচ্ছেন। ছোট ছিলাম বলে কিছুই বলতে পারিনি। আর বলারও কিছু ছিলনা কেননা আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা এ ব্যাপারে করনীয় সম্বন্ধে কিছু শেখায়নি।

আর যারা বেসরকারী চাকুরী করেন তারাও উপোরোক্ত কাজটি করতে পারেন। প্রাইভেট চাকুরীজীবীদের মিথ্যা বলার সুযোগ কম থাকে। তারপরও যে মিথ্যার কোন সুযোগ থাকে না বলা যাবেনা।

এটা একটা সাধারন উদাহরন। তবে সবাইযে মিথ্যা বলেন তা কখনোই সত্য নয়। আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা সম্পুর্ন সৎভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন। তারপরও আমার চ্যালেন্জ পৃথিবীতে এমন লোক পাওয়া যাবে না যিনি জীবনে একটা মিথ্যে বলেননি।

কিন্তু গত ২ হাজার বছরের মাঝে এমন একজন মাত্র ব্যাক্তিত্ব আছেন যার জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পুর্ন জীবনের স্পষ্ট বিবরনী লিপিবদ্ধ আছে। বলা যায় এক রকম তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যার জীবনকে আমরা আয়নার মত দেখতে পারি। তিনি হযরত মোহাম্মদ (স)।

তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যাক্তি যিনি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটিও মিথ্যে বলেননি। রাসুল (স) এর আদর্শই সবোৎকৃস্ট আদর্শ।

No comments: