একজন ছাত্র বাংলা মিডিয়ামে এস এস সি এবং এইচ এস সি তে সাইন্স বিভাগ হতে এ প্লাস নিয়ে পাশ করেছে। তাকে কি ইংলিশ মিডিয়ামের স্ট্যান্ডার্ড থ্রির জেনারেল সাইন্স বইটি পড়িয়ে দিতে হবে?
আবার মনে করুন বাসায় মেহমান এল। আপনি তাকে বাড়ির সবগুলো ঘর ঘুরিয়ে দেখিয়ে দিলেন। তার শোবার ঘর, লিভিং রুম, রান্নাঘর সবই তাকে দেখানো হয়ে গেছে। তারপর সে কি তার শোবার ঘরের কোনে দরজাওলা টয়লেট খানি খুজে বের করতে পারবে না?
একজন ব্লগার এই বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, পবিত্র কোরআন গ্রন্থের ব্যাখ্যা দাতারা বিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কারকে ঐ গ্রন্থে আগেই উল্লেখিত হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন অথচ পৃথিবী যে তার আহ্নিক গতির কারনে দিন রাতের আবর্তন ঘটিয়ে থাকে তার ব্যাখ্যা নাকি আল কোরআন দিতে পারেনি।
যা হোক আল কোরআন দিন রাতের আবর্তন সম্বন্ধে কি বলেছে তা নিয়ে এখন কিছু বলব না। তবে এ সন্দেহ প্রকাশটা নিয়ে আমি সন্দেহ প্রকাশ করতে চেষ্টা করব।
ঐ ব্লগারের মতে আল কোরআন বিজ্ঞানের জটিলতম বিষয় গুলো ১৫ শ বছর পূর্বে থেকেই দুনিয়াবাসীকে জানিয়েছেন। আমরা কোরআন থেকে জানতে পেরেছি পৃথিবী গোল। যা গত ৫০০ বছর আগেও অমুসলিম বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেনি। কোরআন মহাবিশ্বের উদ্ভব এবং তার ভবিষ্যত পরিণতি বর্ণনা করেছে। আর এ তত্ত্ব এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে ধারণা হিসেবে রয়ে গেছে। কোরআন বলেছে মহাবিশ্বের সবই তাদের নির্দিষ্ট স্থানকে কেন্দ্রকে করে ঘুরছে। কোন কিছুই স্থির নয়। গ্রহ নক্ষত্রের ভারসাম্য কি করে হচ্ছে ( কেন্দ্রমূখী বল এবং কেন্দ্রবিমুখী বল) তা বর্ণনা কেরেছে।
এরপরও কি আর স্পেসিফিকভাবে বলার দরকার আছে পৃথিবীর রাত দিন কেন হয়? কি মনে হয় আপনাদের?
তারপরও আল্লাহ দিনরাত্রির আবর্তন নিয়ে জটিল কিছু তত্ত্ব কোরআনে প্রকাশ করেছেন যা আমি আগামিতে তার কিছু কিছু ব্লগে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। আল্লাহই দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন, তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন মহাবিশ্বের কোন জিনিস কিভাবে তিনি রেখেছেন। আমরা বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে তার কিছু আবিষ্কার করতে পারি মাত্র। বলা যায় বিজ্ঞান কোরআনের তাফসীরের সহায়ক মাধ্যম।
No comments:
Post a Comment