Sunday, February 22, 2009

মানুষ এক আজব কম্পিউটার

মানুষ এক আজব কম্পিউটার

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:২০

শেয়ার করুন: Facebook

অদৃশ্য কিছু একটা..

মানবদেহ একটা জটিল সৃষ্টি। এর জটিল ও ভারসাম্যপূর্ন গঠন জ্ঞানী ব্যাক্তিকেই অবাক করে দেয়। মানবদেহের গঠনাকৃতি সম্বন্ধে জানতে ডাক্তারীবিদ্যার শিক্ষার্থীরা তিন প্রফেশনাল পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে চার বছর একটানা পড়াশুনা করতে হয়। কিন্তু তা না করেও মানুষের গঠনের কিছু জিনিস আমরা সহজেই বুঝতে পারি। একটা কম্পিউটার আর একটা মানুষকে স্পেসিমেন হিসেবে সামনে নিয়ে ভাবলে মানুষকে একটা অসাধারন কনফিগারেশনের কম্পিউটার মনে হয়।

কম্পিউটার বা গননাযন্ত্র হলো এমন একটা ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ইউজারের দেয়া বিভিন্ন তথ্য গ্রহন করে তা কাম্যভাবে প্রোগ্রাম অনুযায়ী প্রক্রিয়াজাত করে ফলাফল প্রদান করতে পারে।

আর মানুষ কি তাতো আমরা প্রতিনিয়তই অনুভব করি। মানুষ নামের রক্ত মাংসের যন্ত্রটিও জন্মের শুরু থেকেই তথ্যের সমাবেশ ঘটাতে থাকে এবং তা প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করে করে পৃথিবীর বুকে আমৃত্যু ঘুরপাক খেতে থাকে। বেচে থাকার জন্য মানুষকে নিরন্তর তথ্য গ্রহন করতে হয়, গৃহিত তথ্যগুলোকে ব্যাক্তিজীবনের জন্য উপযোগী করে মস্তিষ্কে সাজিয়ে রাখতে হয় এবং তা ব্যক্তিজীবনে সফলভাবে ব্যবহার করতে হয়।

কম্পিউটারের তিনটা অংশ থাকে। সেগুলো হলো ইনপুট, আউটপুট এবং প্রসেসিং ইউনিট।

ইনপুট: কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসগুলোর কয়েকটি হলো কিবোর্ড, মাউস, মাইক্রোফোন, ওয়েবক্যাম, সেন্সর ইত্যাদি। আর মানুষের ইনপুট ডিভাইস হলো পাঁচটি। নাক (ঘ্রাণ), চোখ (দৃষ্টি), জিহ্বা (স্বাদ), ত্বক (অনুভুতি), কান (শ্রুতি)। মানুষের আরো একটি ইন্দ্রিয় রয়েছে যাকে আমরা সাধারনত ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে ধারনা করে থাকি। কম্পিউটারে ওয়েবক্যাম দিয়ে চোখের কাজ, মাইক্রফোনকে দিয়ে কানের কাজ এবং বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে রের মাধ্যমে গন্ধ, স্বাদ এবং অনুভুতি গ্রহনের কাজ করানো সম্ভব।

আউটপুট: কম্পিউটারের আউটপুট হলো মনিটর, স্পিকার ইত্যাদি। মানুষ তার আউটপুটের কাজটি মুখ দিয়ে শব্দ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নড়াচড়ার মাধ্যমে করে থাকে।

প্রসেসিং ইউনিট: রেজিস্টারের জটিল কম্বিনেশনে তৈয়ার প্রসেসরের কাজ হলো কম্পিউটারের ডাটাকে প্রসেস করা। আর অসংখ্য নিউরনের কম্বিনেশনে তৈয়ার মানুষ্য মস্তিষ্কের একটি অংশ দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রীয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহারোপযোগী করে।

কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য ডিসি বা এসি ইনপুট অথবা ডিসি ব্যটারি ব্যবহার করা হয়। আর মানুষের দেহে পর্যাপ্ত কাঁচামাল দেয়া হলে সে নিজেই প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করে শরীরের পাওয়ার সাপ্লাই নিশ্চিত করে। কাঁচামালগুলো হলো খাবার, পানি এবং অক্সিজেনযুক্ত বাতাস।


কম্পিউটার একটা বুদ্ধিমান যন্ত্র আর মানুষ তার চেয়ে এতই বেশি বুদ্ধিমান যে একে কম্পিউটারের সাথে যে আমি মেলানোর চেষ্টা করছি তাতেই পাবনার মানসিক রোগের কোন চিকিৎসকের কাছে আমাকে ডিজিটাল পাগলামীর ব্যপারে রিসার্চ করার জন্য উপযোগী স্পেসিমেন হিসেবে পছন্দ হয়ে যেতে পারে। তারপরও দেখিনা কি হয়।

কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সম্পর্কিত কিছু ব্রিফ দেয়া শেষ, এবার সফটওয়ার নিয়ে ঘাটাঘাটি করা যাক। কম্পিউটারকে ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই যে সফটওয়ারের প্রয়োজন হয় তা হলো অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন একটা সফটওয়ার যা এমন কিছু তথ্য সংরক্ষন করে যাতে কম্পিউটার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয় ঘটে। অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে হিসেব করে রাখে এবং মেশিনের ভাষা ও ব্যবহারকারীর ভাষার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। অপারেটিং সিস্টেম হলো এক প্রকারের দোভাষী।

মানুষের দেহকে যদি একটা কম্পিউটার হিসেবে ভাবা হয় তবে এরও একটা অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন হবে। একটা কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে জোড়া লাগিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই এটি কোন কাজ করতে সক্ষম হয়না। তবে এটির মাদারবোর্ডের এমবেডেড সিস্টেম তথা বায়োস এর সকল যন্ত্রাংশগুলো ডিটেক্ট করতে পারে। তারপর এতে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করলেই কম্পিউটার কাজ করতে শুরু করে।

অপরদিকে মানুষের জন্মের পরপরই মানুষ কোন কিছুই করতে পারেনা। তবে নবজাতকের কান্না এবং অল্পদিনেই হাত পা নাড়ানাড়ি দেখে অনায়াসে বোঝা যায় এরও একটা এমবেডেড সিস্টেম দেয়া আছে যার ফলে সে তার শরীরের সকল অঙ্গগুলোকে অনুভব করতে পারে। আর এই সিস্টেমটা হলো তার নার্ভাস সিস্টেম যা জন্মের পর থেকেই কাজ করতে শুরু করে।

অপারেটিং সিস্টেমের যে সফটওয়ারটি আমরা ইন্সটল করি তাতে কি এমন জাদুকরী জিনিস আছে যার কারনে আমাদের কম্পিউটার আমাদের দাসে পরিণত হয় তা আগে মাথায় ঢুকত না। তবে এখন ব্যপারটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। আসলে সিস্টেম সফটওয়ার সিডিটি থেকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অসংখ্য তথ্য জমা করা হয়। আর এতেই কম্পিউটার বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত হয়। আর যত নতুন সফটওয়ার ইন্সটল করা হয়, ততই কম্পিউটার বুদ্ধিমান হতে থাকে। তবে কম্পিউটারের শারিরীক যোগ্যতা তার বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর ব্যপারে শক্তিশালি ভুমিকা পালন করে। কম ক্ষমতার প্রসেসর, RAM ও Motherboard কম্পিউটারের বেশি বুদ্ধিকে ধীরগতিতে ব্যবহার করতে বাধ্য করে। তবে ভাল এলগোরিদম একটা প্রোগ্রামকে সিস্টেমের দুর্বলতাকে উপেক্ষা করে অতি দ্রুত এক্সিকিউট করাতে পারে।

মানুষের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাইই। মানুষের জন্মের সময়কার খালি মাথা দিনে দিনে জ্ঞান ও তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ হয়। একজন নবজাতক প্রথমে ক্ষিদেকে অনুভব করতে শেখে, তারপর ধীরে ধীরে মায়ের উপর ভরসা করতে শেখে। আর শেখে হাসতে। কান্না ও হাসিসহ সকল প্রকার অনুভূতি প্রকাশক ভঙ্গী ও আচরন মানুষ জন্মগতভাবে এমবেডেড হিসেবে পেয়ে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে আশপাশের সবকিছু থেকেই শিক্ষা গ্রহন করতে থাকে। বয়স যত বাড়ে তার শরীরের প্রতি ততই তার নিয়ন্ত্রন আসে আর তার ব্যবহার তার কাছে সহজ হতে থাকে। আস্তে আস্তে সে সকলকে অনুকরন করতে চেষ্টা করে আর অজানাকে জানতে চেষ্টা করে। আর সে কারনেই যে পরিবারে ও পরিবেশে একজন শিশু বেড়ে উঠে তার ছাপ পড়ে শিশুর স্বভাবে ও জ্ঞানে। আর মা বাবার কিছু স্বভাবতো শিশু তার সিস্টেমে এমবেডেড হিসেবে পায়ই। শিশু যে পরিবেশে বড় হয় সে সেই পরিবেশের জ্ঞান অর্জন করে। যেমন কারো বাবা মা যদি শিক্ষক হয় তবে তাদের সন্তানও মেধাবী হয়, আবার কারো বাবা যদি কামার হয় তবে সে লোহার আচরন সম্বন্ধে জ্ঞানী হয়ে ওঠে, ইত্যাদি। একজন মানুষের বুদ্ধি পরিমাপ করা যায় তার জ্ঞানের মাধ্যমে। যে লোক যত বেশি জ্ঞান বা তথ্য তার মাথায় জমিয়ে রাখে সে তত বেশি বুদ্ধিমান। তবে দৈহিক বিকলাঙ্গতা মানুষের বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও স্টিফেন হকিংসের মতো লোকজন তাঁদের এই বাধাকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে গেছেন অনেকদুর।

এবার আসল কথায় আসা যাক। কম্পিউটার আর মানুষের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও একটা মৌলিক ক্ষেত্রে ব্যবধান বিশাল। বুদ্ধিমান যন্ত্র কম্পিউটারকে বুদ্ধিমান করে তোলে কোন একজন বা একদল মানুষ। অতএব কম্পিউটার তার কাজের জন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ একটা সম্পুর্ন সিস্টেমকে জোড়া লাগানোর পর তাকে অবশ্যই একটা অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হয়। তাকে মানুষের মত সকল ক্ষমতা দেয়ার পরও সে নিজে নিজে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ফরমেটেড হার্ডডিস্ক বিশিষ্ট একটা সুপার কম্পিউটারের মাইক্রোফোন কোন শব্দকে তার স্মৃতিতে সংরক্ষন করতে পারেনা। পারেনা ক্যমেরার মাধ্যমে কোন ছবিকে সংরক্ষন করতে। শোনা ও দেখার ক্ষমতা দেয়া একটা রোবট কখনোই নিজে নিজে কোন কাজে পারদর্শি হতে পারেনা।

অপরদিকে ফরমেটেড হার্ডডিস্ক বিশিষ্ট মানব শিশু নিজে নিজেই চোখ দিয়ে দেখা ছবিকে সংরক্ষন করে, কানে শোনা শব্দকে মনে রাখে এবং বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী হয়ে ভবিষ্যত জীবনে কাজে লাগায়।

এর কারন কি? এর কারন খুজতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম যে, কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনই তার ব্যবহারকারীর মুখাপেক্ষী, এমনকি মানুষের শরীরও। মানুষের শরীরেরও একজন ব্যবহারকারী থাকে। মানবদেহ যতক্ষন সে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রনে থাকে ততক্ষন সে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে, অপরদিকে ব্যবহারকারীর অনুপস্থিতিতে মানুষ অচল হয়ে পড়ে। এখন মানবদেহের ব্যবহারকারীটি কে? তা হল "আত্না"। আত্না যে মানবদেহের মূল সন্জীবনী তার কিছু কিছু প্রমানের দেখা মেলে:

১. মানুষের ঘুমের সময় আত্না শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। অথচ শরীর বেচে থাকে। তাই এ অবস্থায় আশপাশে ঘটে যাওয়া কোন কিছুই তার কানে বা ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মস্তিষ্কে জমা হয়না। অনেকে ঘুমের ভেতর হাটে, কথা বলে অথচ ঘুম থেকে উঠে মনে করতে পারেনা। ঘুমের মাঝে দেখা অসংখ্য স্বপ্ন হারিয়ে যায় স্মৃতি থেকে অথচ ঘুম ভাঙার ঠিক আগের মুহুর্তের স্বপ্ন মানুষ মনে রাখতে পারে।

২. মানুষ তার মায়ের পেটে বেড়ে উঠার সময়কার কথা মনে করতে পারেনা। আত্না বলে কিছু যদি সত্যিই জন্মের সময় আমাদের দেহে প্রবেশ না করত তবে এমনটা হতনা। আর তাছাড়া ধর্মীয় গ্রন্থের ভাষ্যমতে মানুষের আত্নার সৃষ্টি করা হয়েছে একই সাথে, অথচ জন্মের আগেরকার কোন কথা সে মনে করতে পারেনা। এবং বলা আছে মৃত্যুর পর মানুষ তার কোন কিছুই মনে করতে পারবেনা। কবরের প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করলেও তখন কোন কাজে আসবেনা। এর কারন হলো আত্নার কোন মগজ নেই এবং এর স্মৃতি ধারন ক্ষমতা নেই। তবে মানবদেহের স্মৃতি ধারন ক্ষমতা আছে কিন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু করার ক্ষমতা নেই। তবে আত্না মানবদেহকে ব্যবহার করতে সক্ষম। অর্থাৎ বলা যায় আত্না হলো মানুষের স্বয়ংক্রিয় প্রসেসর যা নিজে নিজেই ইনপুট ডিভাইস ইন্দ্রিয়কে ব্যবহার করে স্মৃতিতে তথ্য সংরক্ষন করে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করে শরীরকে পরিচালিত করে।

৩. আত্না নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন। আত্না মানুষের দেহকে যে কোন দিকেই পরিচালিত করতে পারে। একই বাবা মার দু সন্তানকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তাদের কিছু স্বভাবে তাদের বাবা মা ও পরস্পরের সাথে মিল থাকলেও বিরাট অমিলও পাওয়া যেতে পারে। একই পরিবেশে বড় হওয়ার পরও তাদের নিজেদের বিশেষ বিশেষ দিকে বেশি ধাবিত হবার ফলে আচরনে বিরাট ফারাক দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একই বাবা মার সন্তান হয়েও একজন হয় বাবা মার চেয়েও বেশি জ্ঞানপিপাসু এবং ভাইবোনের চেয়ে বেশি সৎ অপরদিকে অপর ভাইবোন আনন্দপিপাসু এবং অসৎ। এর পশ্চাতে তাদের বন্ধু বান্ধবদের সংগ বিশেষ ভুমিকা পালন করে। আনন্দ ও বিনোদন সবার কাছেই প্রিয় হলেও কেউ এতে গা ভাসিয়ে দেয় আবার কেউ তার পরিবর্তে পরিশ্রম করতে বেশি পছন্দ করে। এটা আত্নার উদারতার উপর নির্ভর করে।

আরো অনেক ধরনের যুক্তি থাকতে পারে, তবে এটা অবশ্যই ঠিক যে, একটা অদৃশ্য শক্তি আমাদের দেহে অবস্থান করছে যা আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে ধরা দেয়না। আর এর কার্যকলাপও বিস্ময়কর। আর শরীরটা হল এই অদৃশ্য জিনিসটার একটা খেলনা, আত্না যেভাবে বলে শরীর সেভাবে কাজ করে। একই রকম দেখতে অথচ দেখা যায় একজন আরেকজনকে পিটিয়ে দিনে দুপুরে হত্যা করছে, মৃতদেহের উপর লাফাচ্ছে।

স্পষ্টই অদৃশ্য এই শক্তিটার নিয়ন্ত্রন কোন দৃশ্যমান শক্তির হাতে নয়। বরং এর নিয়ন্ত্রন যদি কারো হাতে থাকে তবে তা অবশ্যই আরেক অদৃশ্য শক্তির হাতেই হবে। আর সে শক্তিই এর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি পৃথিবীর প্রথম দম্পতি আদম ও হাওয়া হতেই আমাদের বংশবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন। সৃষ্টি করেছেন মহাজগত। আর প্রতিটা আত্নাকে ধারাবাহিকভাবে কোন একটা করে শরীরের ভেতরে বন্দী করে পরিক্ষা নিচ্ছেন আত্নাগুলোর প্রকৃতির। এর ফলাফল ঘোসিত হবে হাশরের ময়দানে এবং পুরস্কার হিসেবে দেবেন জান্নাত ও শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম।

No comments: