Sunday, February 22, 2009

সৃষ্টিতত্ত্বে আল্লাহর অস্তিত্ব (২য় পর্ব)

মিথ্যাকে ঘৃনা করি...

সত্যকে সত্য হিসেবে মানতে না পারাটা মানুষের একটা আধুনিক রোগ।

সৃষ্টিতত্ত্বে আল্লাহর অস্তিত্ব (২য় পর্ব)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৫

শেয়ার করুন: Facebook

মৌমাছি:

মহান আল্লাহ এই পৃথিবীতে যত প্রাণী সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্যে ৭০% হচ্ছে কীট-পতঙ্গ। অসংখ্য পতঙ্গের মধ্যে একটি অন্যতম প্রাণী হচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি তাদের নিজস্ব কলোনীতে বাস করে এবং এরা মানুষের অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক মধু সরবরাহ করে তাদের তৈরী মধু ছয়কোণাকৃতির মৌচাকে সংগ্রহ করে। কিন্তু কখনো কি আমরা দেখেছি তারা কেন এই মধু ছয়কোণাকৃতি মৌচাকে সংগ্রহ করে? গণিতবিদরা এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পেয়েছেন এবং বহু গণনার পর তারা খুব কৌতুহলজনক উপসংহার টেনেছেন। সবচেয়ে বেশি পরিমান ধারণক্ষমতার একটি জমাঘর বানাতে গেলে সেটা ছয়কোণাকৃতির বানানোই সবচেয়ে উত্তম পন্থা, কারন বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের মধ্যে ছয়কোণাকৃতি হলো সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকার এবং এর জন্যই ছয়কোণাকৃতি তৈরি করতে তিন কোণা বা চার কোণা থেকে কম জিনিসপত্র লাগে। মৌমাছির আরেকটি গুণ হলো মৌচাক তৈরি। এদের এক একটি মৌচাকের সেল মাটি থেকে ১৩ ডিগ্রি কোণের মাপে বসানো হয়। এভাবে মৌচাকের উভয় পাশই সমানভাবে তৈরী করা হয়। এই ১৩ ডিগ্রি কোণের মধুকে মৌচাকের ভিতর থেকে পড়ে না যেতে সাহায্য করে। তারা এটা এমনভাবে তৈরি করে যেন সেখানে সূর্যের আলো পৌছতে না পারে। এখানে একটি মজাদার সত্য রয়েছে, মৌমাছিরা জন্মের পর এমনকি চোখ খোলার পর থেকেই এ শিল্প তৈরীর ধারনা পায় এবং তারা এটি করতে পারে। তাদের এ স্থাপত্য শিল্প তাদের কে শিখাচ্ছে? এর উত্তর মহাগ্রন্থ আল-কোরআনেই রয়েছে।


মানব হিতকর মৌমাছি:

ফুলে ফুলে বিচরণ করে মৌমাছি ফুলের নেক্টার সংগ্রহ করে তা নিজের মুখের লালার সাথে মিশিয়ে মধুতে পরিণত করে। যে মধুতে মানুষের জন্য পুষ্টি উপাদান ও অসংখ্য রোগের ঔষধ। আদিকাল থেকে মানুষ রোগ প্রতিষেধক হিসেবে মধু ব্যবহার করে আসছে। হাদিসের বাণীও তাই বলে- "হাযা শিফাউল লিন নাস" অর্থ- মধু মানব জাতির রোগ প্রতিষেধক। অপরদিকে এক সমীক্ষা দেখা যায়, মৌমাছিরা মধু ও মোম উৎপাদন করে যতটুকু সাহায্য করে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি সাহায্য করে পরাগায়নে ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এই ক্ষুদ্র কীট সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে মহা এক পরাক্রমশালী স্রষ্টার ইঙ্গিতে। (নহল-৬৮

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): মৌমাছি, মধু, অস্তিত্ব ;
প্রকাশ করা হয়েছে: ইসলাম বিভাগে ।


  • ১০ টি মন্তব্য
  • ১২১ বার পঠিত,
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে, ৭ জনের ভাল লাগেনি
১. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৮
২. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৯
comment by: সরপ বলেছেন: সুন্দর পষ্ট। গালিবাজদের ব্যন করুন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৪

লেখক বলেছেন: একবার অনেকগুলাকে ব্যন করেছিলাম। পরে দেখি এরা এই দু:খে কান্না মার্কা পোস্ট দিচ্ছিল। তাই ছেড়ে দিয়েছি ওদের।

ধন্যবাদ।



৩. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৯
৪. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২২
comment by: সততার আলো বলেছেন: পাই ও ভাইরাসকে অকারনে মন্তব্য করার জন্য সাময়িকভাবে ব্যন করা হলো। একই অপরাধপ্রবণদের জন্য সাবধানবাণী হিসেবে উদাহরন রেখে দেয়া হলো।

৫. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩১
৬. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩১
comment by: নূহান বলেছেন: শিবির রোকনরে মাইনাস :)

৭. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
comment by: কুমিল্লার পোলা বলেছেন: ব্যন করবেন না।তাহলে নাস্তিকদের চিনতে সমস্যা হবে।

৮. ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩২
comment by: দুঃখবিলাস বলেছেন: "সমীক্ষা দেখা যায়, মৌমাছিরা মধু ও মোম উৎপাদন করে যতটুকু সাহায্য করে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি সাহায্য করে পরাগায়নে ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে।"
- কোন সমীক্ষার বেসিসে কথাগুলো বললেন?

"তাদের এ স্থাপত্য শিল্প তাদের কে শিখাচ্ছে? এর উত্তর মহাগ্রন্থ আল-কোরআনেই রয়েছে।"
- কষ্ট করে কোরআনের সরাসরি রেফারেন্স দিবেন, এবসট্রাক্রট জাতীয় কিছু নয়। যদি জেনে থাকেন বা যদি আদৌ থাকে।

এখানে ভাই ব্লগিং করতে আসি, আপনার ওয়াজ মেহফিলে নয়। যা বলবেন পাব্লিক তাই গিলবে, এধরনের আশা করাটা ভুল।

যদি কিছু না জানেন, তবে উল্টা পাল্টা না বলাটাই ভালো।

৯. ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩১
আপনার মন্তব্য লিখুন
নাম



ইউনিজয় ফোনেটিক সাহায্য বিজয় ইংলিশ | ভার্চুয়াল কি বোর্ড

No comments: