Sunday, February 22, 2009

সহজ উপায়ে সিগারেট ছাড়ার উপায়

সিগারেট খাওয়া কোন ভাল গুন নয়। আবার এর চাহিদাও কম শক্তিশালী নয়। আগ্রহ এবং স্মার্টনেসের লোভেই বন্ধুদের সহচর্যে সিগারেটের কাছে যাওয়া হয় এবং অত:পর লাগাতার।

সিগারেট থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য প্রথম সিগারেটের গায়ে একটা বিশেষ সাবধান বানী লেখা থাকত। তা হল: "সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধূমপান সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর"। কিন্তু এ সতর্কীকরনকে আমরা বিশ্বাস করলেও উপদেশ গ্রহনে আমাদের প্রচন্ড অনাগ্রহের কারনে আমরা তার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করিনি।

সিগারেটের বিজ্ঞাপনগুলো এমনভাবে তৈরী করা হতো যে, তরূনরা সহজেই আকর্ষিত হতো। তাইই হয়তো সরকার সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার ব্যপারে জোর দেয়। যদিও প্রকাশ্যে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পরে তা কিছুদিনের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে। তবুও এতে কিছু লাভ হয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে মার্কেট, যানবাহন, দপ্তর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধূমপানমুক্ত হওয়া।

এখন সিগারেটের বিজ্ঞাপন নাই, লিফলেট নাই। তবে ইদানিং সিগারেটের লেবেল লাগান লিফলেটে "ধূমপান মৃত্যু ঘটায়" টাইপের সতর্কবানী। দেখলে মনে হয় তারা ধুমপানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ক্যাম্পেইন করছে। আসলে তা নয়। তারা আসলে তাদের নতুন ব্রান্ডের নাম গুলো ধূমপায়ীদের কাছে পরিচিত করে তুলছেন।

যাক এত প‌্যাচালের দরকার ছিল না। আসল কথায় আসা যাক। ধূমপানের শেকল থেকে বেচে আসার জন্য আমি একটা সহজ উপায় বাতলে দিতে চাই। এমন কোন উপদেশ নয় এটি যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমি নিজে এভাবেই ধূমপান ছেড়েছি। তো আমার অভিজ্ঞতাটাই শেয়ার করি।

উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের শেষে ধূমপানের সাথে সখ্যতা করেছিলাম। অত:পর চলতে থাকল নিয়মিত। আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু একসাথে শুরু করেছিলাম। তবে অন্যদের চেয়ে এ নেশায় আমিই একটু এগিয়ে ছিলাম। হঠাৎই একদিন প্লান করলাম ধূমপান ছেড়ে দেয়ার। যেই ভাবা সেই কাজ। ঠিক করলাম ঠিক ঐ মুহূর্ত থেকে আর একটা সিগারেটও কিনবনা, এবং ধূমপানের কাছেও যাবনা। তারপর বেশ কয়েকদিন এভাবে ধূমপানবিরতি চালালাম। তারপর এক সন্ধায় হঠাৎই ভুল করলাম। আবার একটা সিগারেট কিনে ধূমপান করলাম। এবং সেটাই শেষ। গত দুবছর আর একটুও ধূমপান করিনি। এবং এখন সিগারেটের প্রতি একটা বিদ্বেস এসে গেছে। ধোঁয়ার গন্ধও এখন সহ্য হয়না।

তো সিগারেট ছাড়ার সহজ উপায় এইটাই হতে পারে। তা হল আজ থেকে ধূমপান পুরোদমে ছেড়ে দেয়া।

সতর্কীকরন: ধূমপান মৃত্যু ঘটায়

No comments: