Sunday, February 22, 2009

আওয়ামী লীগের স্বর্ণযূগ

আওয়ামী লীগের স্বর্ণযূগ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৫

শেয়ার করুন: Facebook

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার শাসনকালকে (১৯৯৬-২০০১) স্বর্ণযুগ বলে দাবী করেছেন।

একবার দেখে নিন- সেই স্বর্ণযুগের কিছু নমুনা :

শীর্ষ আওয়ামী সন্ত্রাসী

১. ফেনীর জয়নাল হাজারী
২. নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান
৩. বরিশালের আবুল হাসনাত আব্দুল্লা
৪. লক্ষ্মীপুরের আবু তাহের
৫. ঢাকার ডা: এইচ বি এম ইকবাল
৬. ঢাকার হাজী মকবুল
৭. ঢাকার হাজী সেলিম
৮. চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান বাবু
৯. ময়মনসিংহের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ
১০. সিলেটের মহিবুর রহমান ওরফে বোমা মানিক।

শীর্ষ রাজনৈতিক হত্যাকান্ড

* মালিবাগে আওয়ামী এমপি ইকবালের নেতৃত্বে গুলি করে চারজনকে হত্যা।
* যশোরে সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যা।
* নওগাঁয় আদিবাসী নেতা আলফেন্সড সরেন হত্যাকান্ড।
* আইনজীবী কালিদাস বড়াল হত্যাকান্ড।
* বিএনপি নেতা ও আইনজীবী হাবিবুর রহমান মন্ডল হত্যাকান্ড।
* আওয়ামী পন্থী ছাত্রলীগের এক গ্রুপের হামলায় অপর গ্রুপের নিহত আট সদস্য।
* লক্ষ্মীপুরে এডভোকেট নূরুল ইসলাম অপহরণ, নিখোজ, যার লাশ আজ অবধি পাওয়া যায়নি।
* শেখ হাসিনার বান্ধবী নগর আওয়ামী নেত্রী নসিবুন নাহারের ছেলে সুমনের হাতে সুত্রাপুরে জোড়া খুন।
* আওয়ামী এমপি মকবুলের নেতৃত্বে ছাত্রদল কর্মী সজল হত্যাকান্ড।
* সাংবাদিক মুকুল, মির্জা ইলিয়াছ ও নহর আলী হত্যাকান্ড।

নারী নির্যাতন

পুলিশের হিসাব মতেই আওয়ামী শাসনের পাঁচ বছরে অপহরণ ৬,২৮৩ জন

নির্যাতিত নারী ৪৪,৩৫৮ জন

ধর্ষিত নারী ১১,৭৩৮ জন

শেখ হাসিনার সোনার ছেলে সেঞ্চুরি মানিকের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে যে, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রী ধর্ষণে সেঞ্চুরী করার পর উৎসব করেছিল।


আলোচিত হত্যাকান্ড

* আওয়ামী লীগ নেতা কাদেরের হাতে রামপুরার হাজীপাড়ায় বুশরা হত্যাকান্ড।
* আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মজুমদারের ছেলে জুয়েলের হাতে ব্যবসায়ী শিপু হত্যাকান্ড।
* আওয়ামী এমপি মায়া চৌধুরীর ছেলে দীপু চৌধুরী বাহিনীর হাতে তারাজ উদ্দিন হত্যা।
* আওয়ামী নেত্রী মুকুলি বেগমের ইন্ধনে সিদ্ধেশবরীতে পুলিশ নির্যাতনে মেধাবী ছাত্র রুবেল হত্যা।
* ঢাকা এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে লন্ডন প্রবাসী সুরত আলী খুন।
* ডিবি অফিসের পানির ট্যাঙ্কে জালালের লাশ

দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

গত জোট সরকারকে দুর্নীতির অভিযোগে এককভাবে অভিযুক্ত করা হলেও আওয়ামী লীগ আমলেই প্রথম টন্সান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে নাম্বার ওয়ান বলে রায় দেয়।

শেয়ার বাজারে মাথায় বাজ

* আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে (২৩·০৪·১৯৯৬) তখন শেয়ার বাজারে মূলসূচক ছিল ৯৭৬। আওয়ামী বাজেট সংকীর্ণতায় মাত্র পাঁচ মাস পরই (০৫·১১·১৯৯৬) এই মূল্যসূচক কৃত্রিমভাবে দন্সুত বেড়ে গিয়ে হয় ৩,৬৪৯। একটি কোম্পানির ১০০ টাকার শেয়ারের দাম উঠে যায় ২,৬০০ টাকায়। তারপরেই নামে বিরাট ধস।

* আওয়ামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ব্যবসা-বাণিজ্য বুঝি না। আওয়ামী অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া বলেন, আমি শেয়ার মার্কেট বুঝি না। তাদের এই না বোঝার ফলে আওয়ামী শাসনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় (২২·১২·১৯৯৯) শেয়ার বাজারে সূচক নেমে আসে মাত্র ৪৭৩-এ।

* আওয়ামী সরকারের এই লুটপাট এবং ব্যর্থতার ফলে হাজার হাজার মানুষ হয়েছে দেউলিয়া। শ শ পরিবার হয়েছে নি:স্ব।

সর্বনিম্ন রিজার্ভের রেকর্ড

আওয়ামী লীগ সরকার যখন বিদায় নেয় তখন ডলার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১০৫ কোটি যা ছিল তার আগের দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ বাংলাদেশের তখনকার তিন মাসের আমদানী বিল মেটানোর জন্য প্রয়োজন হতো ২০০-২২৫ কোটি ডলার রিজার্ভ।

আকাশকন্যা শেখ হাসিনা

* শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার মেয়াদের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন।
* শেখ হাসিনা পাঁচ বছরে ৪৯ বার বিদেশ সফরে ২৪৮ দিন কাটিয়েছেন।
* তার কমপে ১৬টি সফর ছিল ডক্টরেট ডিগ্রি ও পদক সংগ্রহের উদ্দেশে।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে তার ম্যারাথন বিদেশ সফরে দেশের কতো কোটি টাকা খরচ হয়েছে তা জানা দুরুহ। তবে ১৪ এপ্রিল ২০০১ বিমান মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশ বিমান একটি চিঠি দিয়েছিল যাতে শেখ হাসিনার ভিআইপি ফাইট ব্যবহার বাবদ পাওনা ১৭ কোটি টাকা পরিশোধের অনুরোধ বিমান করেছিল। সফরের বিমান ভাড়ায় যদি ১৭ কোটি টাকা বকেয়া থাকে তাহলে মোট সফর খরচ অনুমান করা যায় কি?

ডিগ্রীকন্যা শেখ হাসিনা

* শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্খায় দশটি অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি তার নামে ঘোষিত হয়। এরমধ্যে আটটি তিনি গ্রহণ করেন।

* দেশ বা জাতির জন্য সম্পূর্ণ অর্থহীন এ ডিগ্রিগুলো সংগ্রহ করতে জনগণের কোটি কোটি টাকা শেখ হাসিনা খরচ করেছেন।

* বিদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব অনারারি ডিগ্রি বিক্রি করা হয়। যে কোনো ব্যক্তিই টাকা দিলে তা কিনতে পারেন।

আওয়ামী সন্ত্রাসে আক্রান্ত সাংবাদিক

আওয়ামী সরকারের আমলে দৈনিক রানার সম্পাদক মুকুল, জনকণ্ঠের সাংবাদিক শামসুর রহমান সহ কমপে আটজন সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। আহত হন ফেনীর (বর্তমানে প্রথম আলোর সাংবাদিক) টিপু সুলতান সহ আরো অনেকে। সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনে আওয়ামী মন্ত্রী, এমপি, নেতাকর্মীরা সরাসরি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায়।

এই স্বর্ণযূগকে ফিরিয়ে আনতে ভোট দিন আওয়ামী লীগে।

No comments: