Sunday, February 22, 2009

জনগনের জন্য, জনগনের মধ্য থেকে একজন সৎ শাষক চাই

গনতন্ত্রের সংজ্ঞানুযায়ী, এর রাষ্ট্র পরিচালনার ভার গ্রহন করেন জনগনের মধ্য থেকে নির্বাচিত একদল প্রতিনিধি। তাঁরা অন্য সকল জনসাধারনের মতই একজন মানুষ, তবে তাঁদের জ্ঞান-গরিমা, সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারনে তাঁরা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করেন। এ হল পুঁথিগত গনতন্ত্র। কিন্তু বাংলাদেশে এর প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা অন্য রকম। তা হল এরকম:

১. বাংলাদেশের এই সব প্রতিনিধি তাঁদের নিজ নিজ অন্চলের বসবাস কারী জনগনকে সর্বদা ভয়ভীতির মধ্যে রাখেন।

২. প্রত্যেক উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তাঁরা জনগনের দিকে তাঁদের চাঁদা গ্রহনের হাত বাড়িয়ে দেন।

৩. সর্বত্রই তাদের প্রভাবের সদ্ব্যবহার করে ফুটপাত, বাস স্টপেজ, ওয়েটিং রুমকে ব্যবসাকেন্দ্র বানিয়ে প্রভাব অপচয় থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলেন। কেননা তাঁরাতো জানেন যে, অপচয়কারী শয়তানের ভাই।

৪. নৃশংষতা থেকে জনগনকে বাচানোর জন্য মানুষের রগ কেটে, হাত কেটে, মাথা ফাটিয়ে, ঘরে আগুন লাগিয়ে এবং জনগনের মধ্য থেকে বাছাইকৃতদের খুন করে নৃশংষতায় তাঁরা ইন্টার্নী করেন।

৫. সংসদকে তাঁদের দুলাভাইয়ের বাড়ি মনে করে, এখানে উপস্থিত সকল বেয়াই বেয়াইনের সাথে হাস্য রসিকতায় লিপ্ত হন। আর মাননীয় দুলাভাইদেরকে (স্পিকার ও মন্ত্রীগন) তেলবাষ্প দ্বারা বাতাস করতে থাকেন।

৬. রাস্তাঘাট, ব্রীজ- কালভার্টের মত সাধারন স্থাপনা হতে রড সিমেন্ট যথেস্ট পরিমান বাচিয়ে দেশের গুরুত্বপুর্ন স্থাপনার (নিজ বাসভবন) নির্মানকাজে মনোননিবেশ করেন।

৭. বিরোধী দলের নেতাগন কয়েকদিন পর পর হুংকার ছেড়ে জনগনকে হর-তালের রস আহরন করার জন্য আবেদন করেন এবং অবাধ্য জনগোষ্ঠীকে চুলায় (বাস) রেখে আগুন দারা রোস্ট বানিয়ে চেখে দেখেন জনগনের টেস্ট কেমন।
.........................................................ইত্যাদি।

এরা কি আমাদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য????????????

আসুন যোগ্য এবং সৎ শাষককে খুঁজে বের করে নির্বাচিত করি।

No comments: