Sunday, May 24, 2009

হারিয়ে যান অতলে... ফিরে আসুন পৃথিবীতে

আমি জানি আপনি আপনার পিসির সামনে। হয়ত চেয়ারে আরামসে বসে নইলে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছেন।

নিশ্চয়ই ভাবছেন, কি করে বুঝলাম? এ বিরাট শাস্ত্র, যাকে জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে। যার কিনা আগামাথার তুচ্ছ জ্ঞানটুকুও নেই আমার। তবে আপনার উপর একখান টেস্ট করতে চাই। দেখি সফল হই কিনা?

মনে করুন, আপনি যেখানে বসে অথবা শুয়ে আছেন, সেই ঘরটি আপনার চেয়ে কয়েকশগুন বড়। একটু চোখ বুলিয়ে দেখে নিন। তারপর ভাবুন আপনার বাসার কথা। সেটি আপনার ঘরটির তুলনায় পাঁচ থেকে দশগুন অথবা আরো বেশি। একটু কল্পনা করে ভাবুন এর বিস্তার। এরপর একটু আপনার পাড়ার কথাটা ভাবুন, সেটি আপনার বাড়িটির চেয়ে কত্ত বড়! সেই তুলনায় আপনার বাড়িটি যেন ছোট্ট একটা চৌকনা। আর আপনার শহরের তুলনায় সেটি একটি বিন্দু।

আপনার শহরের কথা ভাবুনতো, সেটি আপনার দেশটির তুলনায় অনেক ছোট। শভাগের প্রায় একভাগ। আর আপনার বাড়িটিতো বিন্দুতে ফেলা যাচ্ছেনা।

আপনার দেশটি, মানচিত্র থাকলে তা একবার দেখে নিন, এ পৃথিবীর তুলনায় কত না নগন্য! সেখানে আপনার বাড়ির অস্তিত্ব ভাবতে কষ্ট হয়। মানচিত্রেতো আন্দাজও করা যাবেনা। আর আপনি, লাখ কোটি প্রজাতির বিভিন্ন প্রানির মধ্যে একটি। যাদের মধ্যে আপনার নিজেকে নগন্য ভাবতে খুব কষ্ট হয়না।

এবার আসা যাক, আপনার গ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীকে নিয়ে ভাবায়। সৌরজগতে এর অস্তিত্ব কতনা নগন্য। সূর্য থেকেই পৃথিবী কত্ত ছোট। একটা ছোট্ট বিন্দুও না যেন। আর আপনি আপনার অস্তিত্বকে উপলব্ধি করুন।

শুধু মাত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই সৌরজগতের মত কোটি কোটি সূর্য রয়েছে। আর পুরো মহাবিশ্বে হাজার কোটি ছায়া পথ রয়েছে। আপনার ছায়াপথটি সেখানে একখানি বিন্দুরও সমান নয়।

এত বিশাল মহাবিশ্বে আপনার অস্তিত্বকে একটু খুঁজে দেখুনতো। পুরো মহাবিশ্ব হাতিয়ে হাতিয়ে কয়েক হাজার কোটি বছর খুঁজলে আপনি হয়তো মিল্কিওয়ে ছায়াপথটির দেখা পাবেন, এরপর সেখানে কয়েক হাজার কোটি বছর ধরে কোটি কোটি নক্ষত্রকে ছেঁকে সূর্যকে আপনি হয়তো পেতেও পারেন। এরপর সেখান থেকে নীলচে এই পৃথিবীকে খুঁজে পেতে বেগ পাবার কথা নয় খুব বেশি, উচ্চ গতিতে ছুটলে কয়েকশ বছরেই হয়তো পৌছে যেতে পারবেন। তারপর পৃথিবীতে অভিকর্ষজ টানে ভূমিতে অবতরন করে, কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো পৌছতে পারবেন আপনার ঘরে। তারপর আপনার চেয়ারে বসে পিসির পাওয়ার অন করে আপনি সামুতে লগিন করতে পারবেন।

তারপর আপনি আপনার অভিজ্ঞতা জানান, অনন্ত মহাবিশ্বের মাঝে আপনার অস্তিত্বের ঝাঁঝটুকু সবার সাথে ভাগাভাগি করুন।

No comments: