Thursday, May 21, 2009

চোখ যে মনের কথা বলে- টেকনোলজী

ভাবুনতো, আপনি আপনার কম্পিউটার মনিটরের সামনে বসে আছেন। কম্পিউটার অন হলো। ফাইল ব্রাউজ করার জন্য মাই কম্পিউটার আইকনের দিকে একটু ভালভাবে তাকিয়ে খুঁজলেন, সাথে সাথেই খুলে গেল কাঙ্খিত উইনডো। ঠিক একই ভাবে ডি ড্রাইভের কথা ভাববার সাথে সাথেই ড্রাইভের কন্টেন্ট উইনডোতে হাজির। তারপর একইভাবে আপনি আপনার আকাঙ্খিত ফাইল প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে চালু করতে পেরেছেন। এমন হলে কেমন হয়? বলুনতো।

আমি জানিনা এধরনের কোন কম্পিউটার বাজারে আছে কিনা। তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন দেখেছি। টাচস্ক্রিন টেকনোলজীর আরেকটু উন্নয়নের মাধ্যমেই আমার এ আকাংক্ষা পুরন করা সম্ভব। ব্যপারটা কঠিন, কিবোর্ড মাউস ছাড়াই শুধু মনে মনে ভেবেই কম্পিউটারের আকাংক্ষিত কাজটি করা যাবে। তবে অসম্ভব নয়।

টাচস্ক্রিন টেকনোলজিতে একটি স্টাইলাস অথবা আঙ্গুলের ছোঁয়ার মাধ্যমে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন করা হয়। এ পদ্ধতিকে আরো ইফেক্টিভ করে স্টাইলাসের পরিবর্তে আলোক রশ্মী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যপারটা ঘটানো যাবে। তবে একখানি লেজার বাতির সাহায্যে এটি অনেক বেশি সহজ। তবে এ ছাড়াও ব্যপারটা ঘটানো সম্ভব।

বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এ মনিটরের প্রতিটি বা গুচ্ছ পরিমান পিক্সেল কে বিশেষভাবে অ্যাড্রেস অ্যাসাইনড করে রাখা যেতে পারে। প্রতিটি অ্যাড্রেসে এক একটি প্রোগ্রাম অথবা ফাইল বা ফোল্ডারের অ্যাড্রেস স্টোর করা থাকবে। প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের আলো বিচ্ছুরন করবে এবং প্রতিটি পিক্সেলের সেই বিচ্ছুরিত আলোর প্রতিফলিত রশ্মীকে চিনতে পারার ক্ষমতা দেয়া হবে। অর্থাৎ প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল কে লাইট সেনসেটিভ এবং লাইট এমিটিং করে তৈরী করা হবে। তাহলেই ব্যবহারকারী মনিটরের আকাংক্ষিত অংশে প্রদর্শিত আইকনের বিচ্ছুরিত আলো তার উপর প্রতিফলিত করেই তা রান করাতে পারবেন।


চোখের মনির সাহায্যে এই বিশেষ ধরনের আলো প্রতিফলন ঘটাতে পারা যেতে পারে। আরো ইফেকটিভনেসের জন্য বিশেষ চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার করা যেতে পারে। যেগুলোর মাধ্যমে সঠিকভাবে, সঠিকস্থানে আলোর প্রতিফলন ঘটানো যাবে।


এটা আমার নিজের অনুর্বর মাথার চিন্তা। হয়তো এ নিয়ে বিজ্ঞানীগন আগেই চেষ্টা করে দেখেছেন অথবা বেশ এগিয়ে গেছেন। আর যদি না গিয়ে থাকেন তবে এটা নিয়ে চিন্তা করাটা মনে হয় খুব বোকামী হবে না।

No comments: