আমি জানি আপনি আপনার পিসির সামনে। হয়ত চেয়ারে আরামসে বসে নইলে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছেন।
নিশ্চয়ই ভাবছেন, কি করে বুঝলাম? এ বিরাট শাস্ত্র, যাকে জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে। যার কিনা আগামাথার তুচ্ছ জ্ঞানটুকুও নেই আমার। তবে আপনার উপর একখান টেস্ট করতে চাই। দেখি সফল হই কিনা?
মনে করুন, আপনি যেখানে বসে অথবা শুয়ে আছেন, সেই ঘরটি আপনার চেয়ে কয়েকশগুন বড়। একটু চোখ বুলিয়ে দেখে নিন। তারপর ভাবুন আপনার বাসার কথা। সেটি আপনার ঘরটির তুলনায় পাঁচ থেকে দশগুন অথবা আরো বেশি। একটু কল্পনা করে ভাবুন এর বিস্তার। এরপর একটু আপনার পাড়ার কথাটা ভাবুন, সেটি আপনার বাড়িটির চেয়ে কত্ত বড়! সেই তুলনায় আপনার বাড়িটি যেন ছোট্ট একটা চৌকনা। আর আপনার শহরের তুলনায় সেটি একটি বিন্দু।
আপনার শহরের কথা ভাবুনতো, সেটি আপনার দেশটির তুলনায় অনেক ছোট। শভাগের প্রায় একভাগ। আর আপনার বাড়িটিতো বিন্দুতে ফেলা যাচ্ছেনা।
আপনার দেশটি, মানচিত্র থাকলে তা একবার দেখে নিন, এ পৃথিবীর তুলনায় কত না নগন্য! সেখানে আপনার বাড়ির অস্তিত্ব ভাবতে কষ্ট হয়। মানচিত্রেতো আন্দাজও করা যাবেনা। আর আপনি, লাখ কোটি প্রজাতির বিভিন্ন প্রানির মধ্যে একটি। যাদের মধ্যে আপনার নিজেকে নগন্য ভাবতে খুব কষ্ট হয়না।
এবার আসা যাক, আপনার গ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীকে নিয়ে ভাবায়। সৌরজগতে এর অস্তিত্ব কতনা নগন্য। সূর্য থেকেই পৃথিবী কত্ত ছোট। একটা ছোট্ট বিন্দুও না যেন। আর আপনি আপনার অস্তিত্বকে উপলব্ধি করুন।
শুধু মাত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই সৌরজগতের মত কোটি কোটি সূর্য রয়েছে। আর পুরো মহাবিশ্বে হাজার কোটি ছায়া পথ রয়েছে। আপনার ছায়াপথটি সেখানে একখানি বিন্দুরও সমান নয়।
এত বিশাল মহাবিশ্বে আপনার অস্তিত্বকে একটু খুঁজে দেখুনতো। পুরো মহাবিশ্ব হাতিয়ে হাতিয়ে কয়েক হাজার কোটি বছর খুঁজলে আপনি হয়তো মিল্কিওয়ে ছায়াপথটির দেখা পাবেন, এরপর সেখানে কয়েক হাজার কোটি বছর ধরে কোটি কোটি নক্ষত্রকে ছেঁকে সূর্যকে আপনি হয়তো পেতেও পারেন। এরপর সেখান থেকে নীলচে এই পৃথিবীকে খুঁজে পেতে বেগ পাবার কথা নয় খুব বেশি, উচ্চ গতিতে ছুটলে কয়েকশ বছরেই হয়তো পৌছে যেতে পারবেন। তারপর পৃথিবীতে অভিকর্ষজ টানে ভূমিতে অবতরন করে, কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো পৌছতে পারবেন আপনার ঘরে। তারপর আপনার চেয়ারে বসে পিসির পাওয়ার অন করে আপনি সামুতে লগিন করতে পারবেন।
তারপর আপনি আপনার অভিজ্ঞতা জানান, অনন্ত মহাবিশ্বের মাঝে আপনার অস্তিত্বের ঝাঁঝটুকু সবার সাথে ভাগাভাগি করুন।
Sunday, May 24, 2009
Thursday, May 21, 2009
চোখ যে মনের কথা বলে- টেকনোলজী
ভাবুনতো, আপনি আপনার কম্পিউটার মনিটরের সামনে বসে আছেন। কম্পিউটার অন হলো। ফাইল ব্রাউজ করার জন্য মাই কম্পিউটার আইকনের দিকে একটু ভালভাবে তাকিয়ে খুঁজলেন, সাথে সাথেই খুলে গেল কাঙ্খিত উইনডো। ঠিক একই ভাবে ডি ড্রাইভের কথা ভাববার সাথে সাথেই ড্রাইভের কন্টেন্ট উইনডোতে হাজির। তারপর একইভাবে আপনি আপনার আকাঙ্খিত ফাইল প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে চালু করতে পেরেছেন। এমন হলে কেমন হয়? বলুনতো।
আমি জানিনা এধরনের কোন কম্পিউটার বাজারে আছে কিনা। তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন দেখেছি। টাচস্ক্রিন টেকনোলজীর আরেকটু উন্নয়নের মাধ্যমেই আমার এ আকাংক্ষা পুরন করা সম্ভব। ব্যপারটা কঠিন, কিবোর্ড মাউস ছাড়াই শুধু মনে মনে ভেবেই কম্পিউটারের আকাংক্ষিত কাজটি করা যাবে। তবে অসম্ভব নয়।
টাচস্ক্রিন টেকনোলজিতে একটি স্টাইলাস অথবা আঙ্গুলের ছোঁয়ার মাধ্যমে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন করা হয়। এ পদ্ধতিকে আরো ইফেক্টিভ করে স্টাইলাসের পরিবর্তে আলোক রশ্মী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যপারটা ঘটানো যাবে। তবে একখানি লেজার বাতির সাহায্যে এটি অনেক বেশি সহজ। তবে এ ছাড়াও ব্যপারটা ঘটানো সম্ভব।
বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এ মনিটরের প্রতিটি বা গুচ্ছ পরিমান পিক্সেল কে বিশেষভাবে অ্যাড্রেস অ্যাসাইনড করে রাখা যেতে পারে। প্রতিটি অ্যাড্রেসে এক একটি প্রোগ্রাম অথবা ফাইল বা ফোল্ডারের অ্যাড্রেস স্টোর করা থাকবে। প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের আলো বিচ্ছুরন করবে এবং প্রতিটি পিক্সেলের সেই বিচ্ছুরিত আলোর প্রতিফলিত রশ্মীকে চিনতে পারার ক্ষমতা দেয়া হবে। অর্থাৎ প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল কে লাইট সেনসেটিভ এবং লাইট এমিটিং করে তৈরী করা হবে। তাহলেই ব্যবহারকারী মনিটরের আকাংক্ষিত অংশে প্রদর্শিত আইকনের বিচ্ছুরিত আলো তার উপর প্রতিফলিত করেই তা রান করাতে পারবেন।
চোখের মনির সাহায্যে এই বিশেষ ধরনের আলো প্রতিফলন ঘটাতে পারা যেতে পারে। আরো ইফেকটিভনেসের জন্য বিশেষ চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার করা যেতে পারে। যেগুলোর মাধ্যমে সঠিকভাবে, সঠিকস্থানে আলোর প্রতিফলন ঘটানো যাবে।
এটা আমার নিজের অনুর্বর মাথার চিন্তা। হয়তো এ নিয়ে বিজ্ঞানীগন আগেই চেষ্টা করে দেখেছেন অথবা বেশ এগিয়ে গেছেন। আর যদি না গিয়ে থাকেন তবে এটা নিয়ে চিন্তা করাটা মনে হয় খুব বোকামী হবে না।
আমি জানিনা এধরনের কোন কম্পিউটার বাজারে আছে কিনা। তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন দেখেছি। টাচস্ক্রিন টেকনোলজীর আরেকটু উন্নয়নের মাধ্যমেই আমার এ আকাংক্ষা পুরন করা সম্ভব। ব্যপারটা কঠিন, কিবোর্ড মাউস ছাড়াই শুধু মনে মনে ভেবেই কম্পিউটারের আকাংক্ষিত কাজটি করা যাবে। তবে অসম্ভব নয়।
টাচস্ক্রিন টেকনোলজিতে একটি স্টাইলাস অথবা আঙ্গুলের ছোঁয়ার মাধ্যমে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন করা হয়। এ পদ্ধতিকে আরো ইফেক্টিভ করে স্টাইলাসের পরিবর্তে আলোক রশ্মী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যপারটা ঘটানো যাবে। তবে একখানি লেজার বাতির সাহায্যে এটি অনেক বেশি সহজ। তবে এ ছাড়াও ব্যপারটা ঘটানো সম্ভব।
বিশেষ ভাবে প্রস্তুত এ মনিটরের প্রতিটি বা গুচ্ছ পরিমান পিক্সেল কে বিশেষভাবে অ্যাড্রেস অ্যাসাইনড করে রাখা যেতে পারে। প্রতিটি অ্যাড্রেসে এক একটি প্রোগ্রাম অথবা ফাইল বা ফোল্ডারের অ্যাড্রেস স্টোর করা থাকবে। প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের আলো বিচ্ছুরন করবে এবং প্রতিটি পিক্সেলের সেই বিচ্ছুরিত আলোর প্রতিফলিত রশ্মীকে চিনতে পারার ক্ষমতা দেয়া হবে। অর্থাৎ প্রতিটি বা প্রতি গুচ্ছ পিক্সেল কে লাইট সেনসেটিভ এবং লাইট এমিটিং করে তৈরী করা হবে। তাহলেই ব্যবহারকারী মনিটরের আকাংক্ষিত অংশে প্রদর্শিত আইকনের বিচ্ছুরিত আলো তার উপর প্রতিফলিত করেই তা রান করাতে পারবেন।
চোখের মনির সাহায্যে এই বিশেষ ধরনের আলো প্রতিফলন ঘটাতে পারা যেতে পারে। আরো ইফেকটিভনেসের জন্য বিশেষ চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার করা যেতে পারে। যেগুলোর মাধ্যমে সঠিকভাবে, সঠিকস্থানে আলোর প্রতিফলন ঘটানো যাবে।
এটা আমার নিজের অনুর্বর মাথার চিন্তা। হয়তো এ নিয়ে বিজ্ঞানীগন আগেই চেষ্টা করে দেখেছেন অথবা বেশ এগিয়ে গেছেন। আর যদি না গিয়ে থাকেন তবে এটা নিয়ে চিন্তা করাটা মনে হয় খুব বোকামী হবে না।
Wednesday, May 6, 2009
BAL এর বক্তব্য
বাকশালিদের জয় হোক,
বিরোধীদের মাথায় কোপ,
মাইনলে কথা চান্দা দে,
না মাইনলে মাথা দে,
দেশ আমার বাপ দাদার,
বাধ সাধার সাধ্য কার?
বিরোধীরা, রাখবি মাথা নামিয়ে,
নইলে দেব কামিয়ে,
বাড়লে বড়,
লাঠি মেরে করে দেব ঠান্ডা,
এ দেশেতে,
উড়বে শুধু বাকশালীদের ঝান্ডা।
বিরোধীদের মাথায় কোপ,
মাইনলে কথা চান্দা দে,
না মাইনলে মাথা দে,
দেশ আমার বাপ দাদার,
বাধ সাধার সাধ্য কার?
বিরোধীরা, রাখবি মাথা নামিয়ে,
নইলে দেব কামিয়ে,
বাড়লে বড়,
লাঠি মেরে করে দেব ঠান্ডা,
এ দেশেতে,
উড়বে শুধু বাকশালীদের ঝান্ডা।
Subscribe to:
Posts (Atom)