Friday, December 5, 2008

সংবিধানে যথার্থই লিখা রয়েছে...

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
২য় ভাগ - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি

২৩৷ রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের এমন পরিপোষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, যাহাতে সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখিবার ও অংশগ্রহণ করিবার সুযোগ লাভ করিতে পারেন। (জাতীয় সংস্কৃতি)


--বাংলাদেশে লালনের আবির্ভাবের ১৩শ বছর পূর্বেই ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে। ইসলামের প্রচারে বাংলাদেশ একটি আদি ভূমি। তখন থেকেই ইসলামী সংস্কৃতির শক্তিশালি প্রভাব পড়েছে এদেশে। অপেক্ষাকৃত আদি এ সংস্কৃতির রক্ষাকল্পে লালনের কু-সংস্কৃতিকে একটু ঝেটিয়ে ছেঁকে দুরে রাখাটা অনেক বেশি জরুরী। সংস্কৃতির মান বাড়ে এমন ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা যেমন জরুরী তেমনি জরুরী বাজে সংস্কৃতির অনুপ্রবেশে বাধা দেয়া।

২৪৷ বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎর্যমণ্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। (জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন প্রভৃতি)

--এয়ারপোর্টের সামনের যে সুন্দর সবুজ চত্বর ছিল তাকে অপসারন করে একটা ইট পাথুরে মূর্তি তৈরী বাংলাদেশের গৌরব তথা সবুজ প্রকৃতির অবমাননা করার চেষ্টা হচ্ছিল। তার হাত থেকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ বেশ ভাল ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তাই আমার মনে হয় এক্ষেত্রে সংবিধানের যথোপযোগী মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে ভন্ড পীরের নির্দেশে ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য ভাঙার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসলামী সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ রক্ষায় এসকল ভন্ড পীরদের উৎখাত করা উচিত।

No comments: