ঠিক এই জায়গাটিতেই আজ সকালে হার্টফেল করে মারা গেছেন আজগর সাহেব। ঘর থেকে যখন বেরিয়েছিলেন তখনো তিনি সম্পুর্ন সুস্থ, স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানের সাথেও বেশ খোশ গল্প করে তবেই ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। মন মেজাজও একদম শান্ত ছিল, প্রতিদিনের মত ঠিক সময়েই অফিসের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরুলেন। লোকাল বাসেই যাতায়াত করেন তিনি, যতই ভীড় থাকুক না কেন, ভীড় ঠেলে বাসে চড়ায় তিনি বেশ ওস্তাদ, ২০-২৫ বছরের অভিজ্ঞতা বলে কথা। আজও কোন ব্যত্যয় ঘটলনা, বাসে উঠলেন, বসার জায়গা পাননি কিন্তু বেশ আয়েশ করে রড ধরে দাঁড়িয়েছিলেন এখানটাতে, কিন্তু তারপরই ঘটল ঘটনাটা। হার্টফেল করলেন এবং সাথে সাথেই মারা গেলেন। সেই জায়গাতেই রাত দুটোর সময় ছালু মিয়া দাঁড়িয়ে এই মৃত্যুর পেছনে অদৃশ্য কোন রহস্যের গন্ধ হাতড়াতে চেষ্টা করছেন।
ছালু মিয়া আজগর সাহেবের অনেক পুরোনো বন্ধু, আসল নাম ছালাউদ্দিন, কিন্তু টাকাওয়ালা ঘরের অকর্মা সন্তান ছালাউদ্দিন বন্ধুমহলে ধীরে ধীরে ছালু মিয়া নামেই পরিচিত হয়ে পড়েছেন। আর তাঁর অকর্মাগিরিতে সবসময় উদারহস্ত সহায়তা করে আসছে ভোলা মিয়া। এই ভোলা মিয়াকে এসিস্ট্যান্ট বানিয়ে এই তো কিছুদিন আগে ছালু মিয়া একটা প্রাইভেট ডিটেকটিভ কোম্পানি বানিয়ে ফেললেন, আজগর সাহেব সেই কোম্পানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হয়েছিলেন আর সেদিন প্রিয় বন্ধুর জন্যে অনেক যত্ন করে শুভকামনা জানিয়ে এসেছিলেন। বন্ধুর মৃত্যুতে ছালু মিয়া একটু অপ্রস্তুতই হয়ে গেলেন, কিন্তু আবার সেই সাথে তাঁর ডিটেকটিভ কোম্পানির প্রথম এসাইনমেন্টেরও গন্ধ পেলেন, বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই তাঁর এই রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত দিয়ে নিজের গোয়েন্দা ক্যারিয়ারের শুরু করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। মৃত্যুর খবর পেয়েই এসিস্ট্যান্ট ভোলাকে প্রস্তুত হতে বলে নিজেও প্রস্তুত হয়ে নিলেন এক অজানা শত্রুর খোঁজের জন্য।
ছালু মিয়া প্রথমেই গেলেন তাঁর বন্ধুর লাশ দেখতে, আর ভোলাকে পাঠালেন ঘটনার স্থান অর্থাত সেই লোকাল বাসটিকে খুঁজে বের করতে যেটিতে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। বুদ্ধিমান ভোলা মিয়ার একাজে তেমন বেগ পেতে হলনা, আজগর সাহেব যে বাসে চড়েছিলেন তা হল একটা ৬ নম্বর রূটের বাস। তিনি নতুন বাজার স্টপেজ থেকে গাড়িতে চড়েছেন আর পরের স্টপেজ অর্থাত শাহজাদপুরে তাঁর লাশ নামানো হয়েছিল। ভোলা যেই মুহুর্তে বাসটির খোঁজে বেরিয়েছে তার ঠিক আধঘন্টা আগে ঘটনাটা ঘটেছে । অতএব যানজটের যে অবস্থা তাতে অবশ্যই বাসটি এখনো দু স্টপেজ পার করে গুলশান লিংক রোড পার হতে পারেনি। যেই ভাবা সেই কাজ, শাহজাদপুর থেকে হেঁটে ভোলা দশ মিনিটের মধ্যে গুলশান এসে পৌছল, সেখানে এসেই বাসটি খুঁজে পেল। কন্ট্রাকটরকে জিজ্ঞেস করে বুঝল এটাই সেই ক্রাইম স্পট। অনেক কষ্টে ভীড় ঠেলে বাসের দরজা ধরে ঝুলে থাকার সুযোগ পেল ভোলা, পরের স্টপেজে কিছু যাত্রী নামলে সে বাসের ভেতরে ঢোকার সুযোগও পেল। উঠেই বাস থামানোর আদেশ দিল ড্রাইভারকে, এবং বিনিময়ে অন্য যাত্রীরা তাকে ঠেলে বাস থেকে নামিয়ে দিল।
ছালু মিয়া, ভোলাকে নিয়ে হেলিকপ্টার (তাঁর বিশেষ ধরনের পুরোন মোটর লাগানো বাই-সাইকেল, অবশ্যই এটি মাটিতে চলে, আকাশে নয়) নিয়ে প্রায় দুঘন্টা ধরে বাসটাকে নজর রাখলেন, কিন্তু পুরো রাস্তায় একবারও বাসটাকে খালি মনে হল না, তাই বাস থামানোর সাহসও পেলেননা। শেষে সিদ্ধান্ত নিলেন, রাতেই বাসে অভিযান চালানো হবে। ছালু মিয়া অফিসে ফিরে গেলেন, আর ভোলা শেষ পর্যন্ত বাসটাকে নজরে রাখল। এই লোকাল বাসগুলোকে রাতের বেলা রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই, ড্রাইভাররা একেক বাস একেক জায়গায় রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখে। এ বাসটাকে রাখা হয় মতিঝিলের আশপাশে একটা স্থানে। খোঁজ জেনে ভোলা ফিরে গেল ছালু মিয়ার অফিসে।
রাত দুটোর সময়, নিঝুম রাত। ছালু মিয়া আর ভোলা মিয়া তাঁদের প্রথম দু:সাহসিক অভিযানে বের হল। ভাগ্যিস রাতের বেলা বাসের এক স্টাফ বাসটাতে থাকলেও দরজা খোলা রেখেই আজ ঘুমিয়ে পড়েছে। অন্যদিন হয়তো দরজা বন্ধ করেই ঘুমোয়, কিন্তু আজ বাসে এক যাত্রী মরেছে, তাঁর আত্না হয়তো বাসের ভেতর ঘোরাঘুরি করছে এই ভয় তার মনে হয়তো রয়ে গেছে। হয়তো চিন্তা করে রেখেছে আত্নার খচখচ শব্দ শুনলেই দম বন্ধ করে দৌড় লাগাবে। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার পর সব পরিকল্পনা এখন স্বপ্নের জগতেই বিচরন করছে, সারাদিন তো আর কম পরিশ্রম করেনি, এত সহজে ঘুম ভাঙবেনা তার। ভোলাকে পাহারায় রেখে ছালু মিয়া বাসে উঠে পড়লেন, ভাল করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন সবকিছু, কিন্তু অন্ধকার ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না তার। যদিও অনেক প্রস্তুতি নিয়েই অভিযানে এসেছেন, কিন্তু শুধু টর্চটাই আনা হয়নি, সত্যি বলতে টর্চ এখনো কেনাই হয়নি, কিংবা কেনার কথা মাথায়ও আসেনি। এখন কি করবেন ঠিক করতে পারছেননা গোয়েন্দা ছালু মিয়া, মাথায় কোন বুদ্ধি আসছে না। হঠাতই বুদ্ধি খুলে গেল, খটাখট ক্যামেরাটা বের করে আন্দাজ করে ফ্লাশ দিয়ে অনেক গুলো ছবি তুলে ফেললেন। তারপর সব গুছিয়ে বাস থেকে নেমেই আঁচ পেলেন, সামনে বিপদ!
রাতে বাসের ভেতর আলোর ঝলকানি দেখেই টহলরত পুলিশের বাসটির প্রতি আগ্রহ তৈরী হল, তাই এগিয়ে এসেছিল এদিকে। তারপর কালো টি-শার্ট পড়ে চোরের মত এদিক ওদিক তাকানোয় ব্যস্ত ভোলাকে খুব সহজেই কাবু করে ফেলল তারা, আর ছালু মিয়াও সহজেই ধরা দিল। নাহ, ওদেরকে থানায় নিয়ে যায়নি পুলিশ, তারচেয়ে বেশি লাভজনক কাজটাই যা সচরাচর পুলিশ করে থাকে তা-ই করল। দুয়েকটা মারধর করে, তারপর হাত বেঁধে গাড়িতে চড়িয়ে কিছুক্ষন তাদের নিয়মিত টহল চালিয়ে গেল। ছালু মিয়া অবস্থার তাৎপর্য না বুঝলেও ভোলা ঠিকই তার করনীয় ঠিক করে ফেলল, পুলিশকে খুশি করে দিয়ে ছাড়া পাওয়ার ব্যবস্থাও করে ফেলল। তবে ক্যামেরাটা গচ্চা দিতে হল, তবে পুলিশের ঐ সদস্যগুলো দয়া করে ক্যামেরার মেমোরি কার্ড টা দিয়ে দিল। গোয়েন্দার দল কোনমতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সকালে অফিসে এসেই ছবিগুলো প্রিন্ট করা হল, নেড়ে চেড়ে দেখা হল, কোনাকুনি করে দেখা হল, এমনকি টেবিলের নিচে আলো-আঁধারিতে নিয়ে গিয়েও দেখা হল, কিছুই বোঝা গেলনা। ছবিতে বাসের ভেতরের গায়ে স্টিকার দিয়ে লাগানো কিছু বিজ্ঞাপন, ১০০-৫০০ টাকা ভাংতি নাই বলে ঘোসনা ছাড়া ভৌতিক এমন কিছুই দেখা গেলনা যা দেখে কারো হার্ট-ফেল হবার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা রয়েছে। ভোলাকে ছালু মিয়া আজগর সাহেবের অফিসে পাঠিয়ে দিলেন। ভোলার দায়িত্ব হল আজগর সাহেবের গত কিছুদিনের মধ্যে অফিসে ঘটে যাওয়া বড় ঘটনা বা টাকা-পয়সার লেনদেন সম্বন্ধে জেনে আসা। সে দুপুরের মধ্যেই ফিরে এল কিন্তু জরুরি তেমন কোন তথ্য দিতে পারলনা। তবে জানা গেল যে, গত কিছুদিনে যদিও আজগর সাহেবের সাথে অফিসের কারো খুব উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে অফিস থেকে তাঁকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অফিসের ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্টের বিষয়টি দেখার জন্য। সেই সাথে আরো জানা গেল যে, অফিস থেকে তিনি প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে ওয়েব সাইটটির ডেভলপার কোম্পানিকে পেমেন্ট করেছেন তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগের দিন বিকেলে।
এবার আজগর সাহেবের পরিবারের সাথে একান্ত আলাপ করার জন্য ভোলাকে নিয়ে সন্ধ্যায় বেরুলেন ছালু মিয়া। কিছু উপহার সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হলেন সেখানে। তাঁর স্ত্রীর সাথে কথা বললেন, কিন্তু তাতে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন তথ্য বেরুল না। তবে ওয়েব সাইট সম্পর্কিত আরেকটি তথ্য পাওয়া গেল তাঁর সন্তানের কাছ থেকে। আজগর সাহেব যেদিন মারা গেলেন সেদিন সকালে তাঁর সদ্য কম্পিউটার প্রকৌশল গ্রাজুয়েট ছেলে কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ছেলের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার ভাবনা সম্বন্ধে। ছেলে উত্তরে বলেছিল যে, সে চায় ওয়েব সাইট ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ করবে। শুনে তিনি খুশিই হয়েছিলেন, কেননা তার আগেরদিনই তো তিনি তাঁর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের জন্য আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট করেছেন। ছেলের পরিকল্পনাটা শুনে তাঁর ভাল মনে হল, তাঁর ছেলেও এরকম অনেক টাকা কামাই করবে, ভেবে মনে মনে খুশি হলেন, তারপর খুশিমনে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এবং বাসে উঠে হঠাত মারা গেলেন।
ছালু মিয়া সেরাতে আর ঘুমাতে পারলেননা, বিছানায় ছটফট করতে লাগলেন। ক্যারিয়ারের প্রথম এসাইনমেন্টটাই কেমন জটিল হয়ে গেল, মনে হচ্ছে গোয়েন্দাগিরি ব্যবসায় তাঁর ভবিষ্যত খুবই খারাপ। তারপর বিছানা থেকে উঠে গত রাতে তোলা ছবিগুলো নাড়া চাড়া করতে লাগলেন। একটা ছবিতে ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল, আর তা দেখেই হঠাত তাঁর চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ দেখা গেল, আবার সাথে সাথেই মিলিয়ে গেল। তবে, বাকিরাত আর মাথায় এ ব্যপারে কোন চিন্তা এলনা, ভালই ঘুম হল সকাল পর্যন্ত। পরদিন সকালে ছালু মিয়াকে খুশিমনে অফিসে ঢুকতে দেখেই ভোলা মিয়া বুঝে ফেলল যে, ওস্তাদ রহস্যের সমাধান পেয়ে গেছেন। তাই দুজনের জন্য চা নিয়ে ছালু মিয়ার টেবিলে এসে বসল ভোলা মিয়া, আর ছালু মিয়া অনেকটা ভারিক্কি চালে বলতে শুরু করলেন রহস্যের সমাধানটুকু। তবে ছালু মিয়া শুধু এইটুকু বের করতে পেরেছেন যে, কোন জিনিসটি দেখে আজগর সাহেবের হার্ট থেমে গিয়েছে, কিন্তু সে জিনিসটি দেখার পর তাঁর হৃদয়ে কি কারনে বিমর্ষতা দেখা দিয়েছিল তার দুটি কারন বের করা গেছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে কোনটি আসল কারন তা অজানাই থেকে যাবে আজীবন।
আজগর সাহেব সেদিন বাসে চড়ে রড ধরে দাঁড়িয়ে সামনে তাকাতেই একটা বিজ্ঞাপনে তাঁর চোখ পড়েছিল। সেই বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, “১৪০০ টাকায় ডোমেইন-হোস্টিং সহ ওয়েব ডিজাইন করা হয়”। এবং এটি দেখেই তিনি হার্টফেল করলেন। এটা দেখার পর তাঁর মাথায় দুটো বিষয় কাজ করতে পারে বলে ছালু মিয়া ধারনা করলেন, যার ফলে তিনি হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, সে দুটি বিষয় হচ্ছে:
১. গতকাল তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছিলে একটা ওয়েবসাইট তৈরির জন্য। তিনি যদি সেখানে এত টাকা খরচ না করে বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত ঠিকানায় গিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতেন তবে তাঁর দু লক্ষ আটচল্লিশ হাজার ছয়শ টাকা লাভ হত। এতবড় ক্ষতির কথা তিনি সহ্য করতে না পেরে হার্টফেল করেছেন।
অথবা,
২. তাঁর ছেলেও তো ওয়েব সাইট ডেভলপার হতে চাইছে, তাঁর ছেলেকেও যদি ১৪০০ টাকায় ওয়েবসাইট বানাতে হয় তবে তো তার ভবিষ্যত নাই। প্রতিদিন যদি ছেলে একটা করেও ওয়েবসাইট ডেলিভারী দেয়, তাহলে তাঁর কম্পিউটার প্রকৌশলী ছেলেকে প্রতিদিন মাত্র ১০০ টাকা আয় করতে হবে। একটি ওয়েবসাইটের জন্য সে পাবে ১৪০০ টাকা যার মধ্যে ডোমেইন কেনার জন্যে তাকে ১০০০ টাকা আর হোস্টিং এর জন্য ধরা যাক ৩০০ টাকা খরচ করে ফেলতে হবে। তাহলে তার ছেলের সত্যিকারের আয় হবে দিনে ১০০ টাকা। এটা তো অশিক্ষিত মাটি কাটা শ্রমিকের আয়েও অর্ধেক। এত টাকা খরচ করে যে ছেলেকে কম্পিউটার প্রকৌশলী বানানো হল, তার অন্ধকার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই হয়তো আজগর সাহেব হার্টফেল করেছেন।
আজগর সাহেবের মৃত্যুরহস্য এভাবেই চিরকালের জন্য অর্ধ-মিমাংসীত রয়ে গেল। তবে তাঁর মত এভাবে যাতে আর কাউকে মরতে না হয় তার জন্যে অতি শিঘ্রই কোন একটা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।
Inspired by: Mohammad Sazzad Hossain
তবে মুনতাসীর রশীদ বিজ্ঞাপন দাতাদের প্রতি তাঁর সহানুভুতি জানিয়েছেন, এবং এই মৃত্যুর দায়ভার থেকে তাদেরকে সাধারন ক্ষমা দেবার ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে একটি পত্র লিখে পানিতে ফেলে দেবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।