৮ই জুন এর বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বামপাশে সবার উপরে যে লেখাটি ছিল তা ছিল এই পোস্টের হেডলাইনে। সেখানে লিটন সাহেব জানালেন যে, রাজশাহীর অবস্থা আর আগের মত শান্তিপুর্ন নেই। তিনি আগের মত বলতে নিশ্চয়ই আওয়ামী শাষন শুরু হবার আগের কথা বলেছেন। কেননা তখন দেশের সবচেয়ে শান্ত ক্যাম্পাস ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। দেশের সবচে শান্ত শহর ছিল রাজশাহী।
তিনি শান্তি নষ্ট হবার ব্যপারে দোষারোপ করলেন বিএনপি ও জামাত-শিবিরকে। তাঁর বক্তব্যে রাজশাহীর শান্তির প্রতি আকাঙ্খার পাশাপাশি পক্ষপাতিত্বেরও আভাস পাওয়া গেল। কেননা সবাই দেখেছে কখন থেকে রাজশাহীর পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। রাজশাহীর শান্তি নষ্ট হবার জন্য আমি একমাত্র আওয়ামী লীগকেই দায়ী করব। আমরা সবাই দেখেছি এতদিনের শান্ত রাজশাহী ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশকে কারা নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তান্ডব শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করানো হয় ছাত্রশিবির সেক্রেটারী নোমানীকে। আমরা সবাই নিজেদের টেলিভিশনের কল্যানে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি দা, বটি, রামদা, বোমা ও পিস্তল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল একদল সন্ত্রাসী। সেদিন শান্তিপ্রিয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন মানুষ ও ছাত্রশিবির মিলে একাকার হয়ে প্রতিহত করেছিল ভাড়া করা সরকার দলের এ সন্ত্রাসীদেরকে। কোণঠাসা ছাত্রশিবির ও ঐ এলাকার সাধারন মানুষকে আক্রমন করতে সন্ত্রাসীরা পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করেছে এম্বুলেন্স ও পুলিশ জিপ। পুলিশ সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়নি বরং নগ্ন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
তার কিছুদিন পর এ ঘটনার ব্যর্থতাকে সফলতায় রূপ দিতে ছাত্রলীগ হত্যাকান্ডের নাটক বানিয়ে পুলিশকে সাথে নিয়ে রাতের আঁধারে চড়াও হল ছাত্রশিবিরের উপর। শান্ত রাজশাহীর অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে, নির্বিচারে চলল চিরুনী অভিযানের নামে সরকারী সন্ত্রাস। সর্বোপরি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী এবং সারাদেশের শান্ত গনতান্ত্রিক পরিবেশকে ধ্বংশ করল লিটনের ক্ষমতাসীন দল।
দেশে মহাজোটের ব্যানারে গোপনে সক্রিয় বাকশালের নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক। হিংসা নয় ভালবাসার রাজনীতি এদেশকে নিয়ে যাক সাফল্যের চুড়ায়।